প্রায় ২০০টি গুমের ঘটনায় বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিচারপতি, সচিব ও নিরাপত্তা বাহিনীর উচ্চপদস্থ ১৯ জন কর্মকর্তাকে হাজির করা হয়। এসময় ট্রাইব্যুনাল আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন,
“মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বহু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ ও ড্রোন চিত্র স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে— অভিযুক্তরা রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, তদন্ত শেষে সব প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে মামলাটি প্রসিকিউশনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। এরপর অভিযোগ গঠন, শুনানি ও বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
এই মামলাকে ঘিরে দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এবং পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় একটি বিচারিক প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।